রাঙামাটি প্রতিনিধি: দুর্গম বড়থলিতে হেলিকপ্টারে উড়ে গেল করোনার টিকা
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজলার সীমান্তে দুর্গম এলাকা ৪ নম্বর বড়থলি ইউনিয়ন। বিলাইছড়ি উপজলা থেকে ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে পায়ে হেঁটে এই ইউনিয়নে যেতে সময় লাগে চার দিন।
অপরদিকে বান্দররবান জেলার রুমা উপজেলার বগালেক থেকে এই ইউনিয়ন পায়ে হেঁটে যেতে লাগে ২ দিন। এতে সরকারি সব সুবিধা সঠিক সময় পৌঁছানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে। এই অবস্থায় সারা দেশে গত ৭ আগস্ট সব ইউনিয়ন গণটিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হলেও দুর্গম এই ইউনিয়ন সেদিন টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি।
সবশেষে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকাল হেলিকপ্টারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদর নিয়ে বড়থলি গেলেন বিলাইছড়ি উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তাও। এসময় বিলাইছড়ি উপজলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান ও উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমার নের্তৃত্বে ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এই টিমের সাথে যান।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকাল দশটার দিকে কাপ্তাই উপজলার বিদ্যুৎ উৎপাদন এলাকার( প্রজেক্ট) হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টার রওয়ানা করে বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নের উদ্দেশ্য।
উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা জানান, ফারুয়া ইউনিয়ন গণটিকার প্রথম ডােজ দেয়া হলেও দুর্গমতার কারণে বড়থলি ইউনিয়ন টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি।মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুর্গম বড়থলি ইউনিয়ন ৬শ জনকে এই গণটিকা প্রদান করা হবে। টিকাদান কার্যক্রমর পাশাপাশি বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ হতে চিকিৎসা সেবা এবং ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়াজনীয় সামগ্রীও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
বিলাইছড়ি উপজলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে বড়থলি ইউনিয়নর মানুষর সুবিধা-অসুবিধা সচক্ষ দখার জন্য ও ইউনিয়নর প্রকল্প সমুহ সরজমিন পরিদর্শনের জন্য একাধিকবার উদ্যােগ নিয়েও দুর্গমতা এবং নিরাপত্তাসহ বিভিন কারণে সেখান যাওয়া সম্ভব হয় নাই। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মহােদয়ের বিশেষ উদ্যােগে গণটিকাদান কার্যক্রম সফল করার জন্য প্রথমবারর মতাে এই ইউনিয়ন যেতে পারছি।